বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আনিকা সুলতান নিশি (২০) নামে নার্সিং পড়ুয়া এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলাই ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
আনিকা সুলতানা নিশি ফকিরহাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের শেখ আরিফুল ইসলামের মেয়ে। সে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং এর শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিল।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম শেখ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার (৩১ আগস্ট) ভোর রাতে পরিবারেরর লোকজন আনিকা সুলতানা নিশিকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলাই ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা শেখ আরিফুল ইসলাম জানান, গত এক বছর আগে আনিকা সুলতানা নিশির সাথে খুলনা পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে গাজী তানজিম শাহেদ সামিও ওরফে জোনায়েদের সাথে তার বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামীর সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে থাকে। এরই জের ধরে স্বামীর উপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানান। এদিকে ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) তাদের বিবাহ বার্ষিকী ছিল বলেও জানান তিনি।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে কি ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।