রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় নাহিদ হাসানকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচ শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ—ডিবি। তবে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে নাহিদকে কোপাতে দেখা ইমন বাশারকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থী কাইয়ুমের বাবা নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মতিউর রহমান গতকাল দাবি করেছেন, ‘গোয়েন্দা পুলিশ যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে তার মধ্যে আমার ছেলে আব্দুল কাইয়ুমও আছে। তবে পত্রিকায় যে কাইয়ুমের ছবি ছাপা হয়েছে তার সঙ্গে আমার ছেলের চেহারার মিল নেই।
নাম এক হওয়ার কারণে সে বিপদে পড়ে গেছে। ভুল করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ’
মতিউর রহমান বলেন, ‘আমাকে ছেলের বন্ধুরাও বলেছে, পত্রিকায় ছবি ছাপা হওয়া কাইয়ুম আর আমার ছেলে কাইয়ুম এক না। পুলিশের কাছে অনুরোধ, আরো ভালো করে তদন্ত করুক তারা। ’ তিনি জানান, তাঁর ছেলে ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম (২৪), একই বর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ মিয়া (২৪) ও মাহমুদ ইরফান (২৪), বাংলা বিভাগের ফয়সাল ইসলাম (২৪) এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জুনায়েদ বুগদাদী (১৯)।
এদিকে ভিডিওচিত্রে নাহিদকে কোপাতে দেখা ইমন বাশারকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছি, নাহিদকে যিনি কুপিয়েছেন, তাঁর নাম ইমন।
আমরা তাঁকে খুঁজছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আমরা খুঁজছি। ’
জানা গেছে, মামলার পর থেকে ইমনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তাঁর ফেসবুক আইডি ডি-অ্যাক্টিভ করা। ঘটনার দিনও তাঁর ফেসবুক আইডি সচল ছিল।