কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাস নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের পদোন্নতি সংক্রান্ত সভায় নিজেই সভাপতিত্ব করেছেন। গত ৭ ডিসেম্বর নিজ বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। যে সভায় ড. বনানী বিশ্বাসের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত আলোচনা হয়। পদাধিকার বলে তিনি প্ল্যানিং কমিটির সভাপতি।
মূলত ড. বনানী বিশ্বাসকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য সভাটি আহ্বান করা হয়েছিল।
নিজের পদোন্নতি সংক্রান্ত সভায় নিজেই সভাপতিত্ব করা নৈতিকতা পরিপন্থী কি না জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘এটি নিয়মের মধ্যেই হয়েছে। আমি না থাকলে প্ল্যানিংটা দেখবে কে? তবে আমি (নিজের পদোন্নতির) আলোচনায় অংশগ্রহণ করিনি।’
আলোচনায় অংশগ্রহণ না করলেও সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে বসবো নাকি ওইখানে বসবো এটা আমাদের ইন্টারপার্সোনাল রিলেশনশিপের বিষয়।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেছেন, ‘কমিটির কোনো সদস্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা থাকলে তার বিষয়টা আলোচনার সময় তাকে সভা থেকে সরে যেতে হয়। আলোচনা শেষে পুনরায় সভায় যোগ দিতে পারেন।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রসঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি তো আর কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না, তবে যদি উপাচার্য কোনো মিটিং ডাকে তাহলে সেখানে আমি কথা বলতে পারব।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এর আগে শিক্ষার্থীরাও একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। গত ২৪ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিভাগীয় প্রধান তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় দুর্ব্যবহার করেন। কোনো বিষয়ে তার কক্ষে দেখা করতে গেলে বিরূপ আচরণ করেন। প্রায় সময়ই ‘হু আর ইউ’ বলে শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেন।