স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগে পরীক্ষাগ্রহণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক মো. শওকাত আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। গতকাল এই অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে শিগগিরই মামলাটি দায়ের করবেন। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম, সাবেক উপ-পরিচালক ও নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ডা. আ ফ ম আখতার হোসেন ও নিয়োগ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদকেও আসামি করা হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২০ সালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং কার্ডিওগ্রাফারসহ দুই হাজার ৭৯৮টি শূন্যপদে জনবল নিয়োগে ছাড়পত্র প্রদান করে সরকার। এসব পদে ৭২ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেন। এর পর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন চার হাজার ৪৫৩ জন। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধানে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত খাতা, টেবুলেশন শিট ও অন্যান্য উপকরণ পরীক্ষার পর দুই হাজার ৪১১টি উত্তরপত্রে একাধিক স্ট্যাপলিং করা ছিদ্র এবং পেন্সিলে লেখা বিভিন্ন ধরনের সংকেতের মাধ্যমে জালিয়াতি ও অনিয়মের প্রমাণ বেরিয়ে আসে। অনুসন্ধানে বেশকিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় ৭৮ থেকে ৭৯ নম্বর পেলেও মৌখিক পরীক্ষায় খুবই খারাপ করে। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় অপেক্ষাকৃত কম নম্বর (৪০-৫৫) পাওয়া পরীক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করেন।
স্কুলশিক্ষক আবদুর রশিদ ও অধ্যাপক শওকাত পরীক্ষার দিন সদস্যসচিব আ ফ ম আখতার হোসেনের কাছ থেকে পরীক্ষার খাতাগুলো গ্রহণ করেন। তারা পরীক্ষার পরবর্তী রাত বা দিনে বিকল্প খাতায় নতুন করে প্রশ্নের উত্তর লিখে তা অফিসিয়ালি সরবরাহ করা খাতায় প্রতিস্থাপন করেন।