নির্বাচনের তারিখ বদলানোর দাবি ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোট।

ওইদিন সরস্বতী পূজা থাকায় ভোট পোনোর দাবি জানিয়ে আসছেন সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীরা। ভোটের তারিখ পেছানোর নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিটও হয়েছে। 

সোমবারের মানববন্ধনে জগন্নাথ হলের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার বলেন, “আগামী ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী দেবীর পূজা। ইতিমধ্যে পূজাটি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের কাছে উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে সকলে অংশ গ্রহণ করেন, আনন্দ করেন। কিন্তু এই দিনে দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রতন চন্দ্র ঘোষ বলেন, “একই সাথে দুইটা জিনিস চলতে পারে না। তাই আমাদের আহ্বান, সরস্বতী পূজার দিন বাদ দিয়ে অন্য যে কোনো দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হোক।”

সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নমিতা মণ্ডল বলেন, “মুসলমানরা যেমন ঈদের দিন পরিবর্তন করতে পারেন না, আমরাও পূজার তারিখ পরিবর্তন করতে পারব না। এটা বিশেষ তিথিতেই হয়। এটা আমাদের অধিকার। তাই নির্বাচনের তারিখই পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ভোট দিতে চাই, আমরা পূজাও করতে চাই।”

জগন্নাথ হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ নিম চন্দ্র ভৌমিক নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে স্বাধীন হয়েছে পুজার দিনে নির্বাচনের এই তারিখ পরিবর্তন করে সেই চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করুন। যদি এই তারিখ পরিবর্তন না করেন তাহলে আমরা মনে করব যে আপনারা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের যে সাংবিধানিক অধিকার আছে সেটা চাচ্ছেন না।”

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধন থেকে দুই দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী পরিমল চন্দ্র রায়।

দাবিগুলো হল- অনতিবিলম্বে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন এবং আগামীতে এর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে (আইন তৈরি করে অথবা নির্বাচনী বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করে) ব্যবস্থা গ্রহণ।

মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনকে স্মরকলিপি দিতে যায়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031368732452393