তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। বিভিন্ন সময়ে দলের দুর্দিনে, বিশেষ করে ২০০৭ সালে যখন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন আমাদের অনেক নেতা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপস করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও অবিচল ছিলেন। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই জননেত্রী শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। আজ তাদের কারণেই আওয়ামী লীগ সফলতার সঙ্গে এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে।
তিনি বলেন, তবে মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগের নৌকায় সবাই উঠতে চায়। ভালো মানুষদের জন্য দলের দরজা খোলা থাকলেও দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকের সঙ্গে জড়িত ও যারা দলের নাম ভাঙিয়ে সুবিধা ভোগ করতে চায় আওয়ামী লীগে তাদের কোনো জায়গা নেই।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে গাইবান্ধা আসেন। এ সময় সার্কিট হাউসের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের এমপি মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) আসনের এমপি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও তথ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। এ সময় শীতের অতিথি পাখির মতো এসে অনেকে দলের টিকিট চাইবেন। কিন্তু আপনারা চোখ-কান খোলা রেখে তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দেবেন।