বিএনপি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে বিএনপি। ভিসানীতি তাদের ওপর পড়বে, আমাদের (আওয়ামী লীগ) ওপর না। আমরা নির্বাচনের আগেও শান্তি চাই, নির্বাচনের পরেও শান্তি চাই। বিএনপি বাংলাদেশের সন্ত্রাসী সংগঠন। যারা নির্বাচনের নামে আগুন সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করবে, আমরাও দেখবো এই এই ভিসানীতি কার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হবে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিভিং লিগ্যাসি হিসেবে এই জনপদ যতোদিন থাকবে তার নাম প্রতিধ্বনিত হবে। এটা বোধহয় সৃষ্টিকর্তার অমর সৃষ্টি। এই দেশের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর মুখ নিঃসৃত শব্দ মুক্তি আর স্বাধীনতা। স্বাধীনতার লিগ্যাসি বঙ্গবন্ধুর নামেই উচ্চারিত হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এটাও তার লিগ্যাসি, এটা বহন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের এই লিগ্যাসি আরো পরিষ্কার হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসতে। রাজপথে ফয়সালা হোক। আদালতের রায় আছে তার বক্তৃতা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। প্রতিদিনই তিনি এগুলো করে যাচ্ছেন, এর কোনো বিচার নেই? ইউরোপ আমেরিকার গণতন্ত্রের নেতারা এই ফ্যাসিস্টের তৎপরতা দেখেন না। তারেকের বিষয় দেখেন না?
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, এই বছর ২০-২২টা দেশে নির্বাচন, ইউরোপ আমেরিকার প্রতিনিধিরা ঘুরে ঘুরে শুধু বাংলাদেশে আসছে। সব ছেড়ে সবার নজর বাংলাদেশের ওপর। শেখ হাসিনার বড় দোষ সত্য কথা বলা। ১৫ আগস্টের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা, বড় বড় সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।