কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বিদ্যমান আইনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করলে সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরো ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। একজন পাগলকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক করবেন, কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সরকারের সব কর্মকর্তারা ইসির অধীনে থাকবে।’
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলে নিজ বাসভবন সোনার বাংলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে কোনও জোটে যাবো কি না জানি না। তবে বিএনপির সঙ্গে কোনও নির্বাচনি জোটে যাবো না। আমি সবসময় গণমানুষ ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে পৃথিবীর কোথাও কোনও সরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল। এখন সংবিধানে নেই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইন আর না পারলে সবটাই বেআইনি।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেখতে হবে বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে পারে তাহলে আবার হতে পারে। আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) অধীনেই নির্বাচন হবে- এর কোনও বিকল্প আপাতত নেই।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমেরিকার এই ভিসানীতি এই মুহূর্তে করার কোনও মানে হয় না। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দরকার পড়লে যাবো না সাত সাগরের ওপার। অনেকে এ কথার সমালোচনা করেছেন। যে কোনও সরকার তার ইচ্ছেমতো ভিসা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই ভিসানীতি নিয়ে কোনও কথা থাকতো না। ভিসা নিয়ে কথা আসছে রাজনীতির কারণে। এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছুই না।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক।