তিন প্রার্থীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা। তাঁদের নিয়োগ দেয়ার জন্য নেয়া হচ্ছে লোক দেখানো পরীক্ষা। এমন অভিযোগ এনে এলাকাবাসী বিদ্যালয় অবরোধ করেন। আটকে রাখেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালকের প্রতিনিধি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
গতকাল শনিবার সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের ছমির উদ্দিন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকালে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন, পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। আগেই পছন্দের প্রার্থী ঠিক করা হয়ে গেছে। এমন খবরে শত শত গ্রামবাসী ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জড়ো হন। তাঁরা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একটি কক্ষে আটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে আটক ব্যক্তিরা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও প্রধান শিক্ষক পুলিন চন্দ্রকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তাঁরা কল কেটে দেয়ায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহায়ক, আয়া ও নৈশপ্রহরীর তিনটি পদে মোট ১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। সেখানে অনুকূল পরিবেশ ছিল না, তাই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।