নিয়োগ বাণিজ্যে বিরোধ, প্রধান শিক্ষককে দপ্তরির বাড়িতে বেঁধে নির্যাতন

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি |

মণিরামপুর উপজেলার খামারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে একই বিদ্যালয়ের দপ্তরির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিটের পর দপ্তরির বাড়িতে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খামারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে স্থানীয় হারুন অর রশিদ খান নামে এক যুবককে দপ্তরি হিসেবে নিয়োগ দেয় পূর্বের কমিটি। বর্তমান সরকারি বিধিমোতাবেক নিয়োগকৃত প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে হারুনের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলেও পূর্বের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পাল অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেন। নিয়োগের কিছুদিন পর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পাল চাকরি থেকে অবসরে যান। 

প্রাক্তন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিলন অর্থ লেনদেনের অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, বিধিমোতাবেক তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। ইতোমধ্যে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমপিওভুক্তির জন্য হারুন অর রশিদের কাগজপত্রাদি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলে প্রেরণ করেন। কিন্তু হারুন অর রশিদ খানের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হওয়ায় ওই কর্মচারীর এমপিও আবেদন বাতিল করা হয়।

এ ব্যাপারে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দোষারোপ করেন দপ্তরি হারুন অর রশিদ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দপ্তরি হারুন অর রশিদ মোবাইল ফোনে জরুরি কাজের কথা বলে ডেকে নেন।

পরে তিনি তার লোকজন মিলে মারপিটের পর তাকে বেঁধে রাখেন। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পুলিশের সহায়তায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আসামি পক্ষও পাল্টা আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দুটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিটের বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে এর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004392147064209