রাজশাহীর চারঘাটের পটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে নীতিমালা ভঙ্গ করে গোপনে প্রধান শিক্ষকসহ তিনটি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্কুলের একজন অভিভাবক সদস্য রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া স্কুলের একজন শিক্ষকও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের রাজশাহীর উপ-পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক একেএম জাকারিয়ার এ নিয়োগ বাতিলসহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও একজন সদস্যের অপসারণ চেয়েছেন।
পটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সেলিম রেজার সম্প্রতি দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্কুলটির সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এটিএম তাহির অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে গেল বছরের শেষের দিকে প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও নৈশপ্রহরী পদে তিনজনকে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের কথা এটিএম তাহির ও আনোয়ার হোসেন ছাড়া ম্যানেজিং কমিটির অন্য কেউ জানতেন না। গোপনে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত একেএম জাকারিয়া আগে থেকেই স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আবেদন করলে তাকে অন্য আরেকজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে হয়। কিন্তু তিনি নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্কুলের জুনিয়র সহকারী শিক্ষক আনিস মো. শাহিদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করেন। নীতিমালা মানলে এখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করতে হতো ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে চাকরিতে যোগ দেয়া সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে।
এভাবে নীতিমালা লঙ্ঘন করায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি জানান, শিক্ষক আনিস প্রধান শিক্ষক জাকারিয়ার ভগ্নিপতি। তাই জাকারিয়া তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করেন। আর আনিসের মামাশ্বশুর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাহির।
এ বিষয়ে কথা বলতে সভাপতি এটিএম তাহিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রধান শিক্ষক একেএম জাকারিয়া বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিধি ভঙ্গ করা হয়নি। নিয়োগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত রয়েছে। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে বেতনও পাচ্ছেন।
জানতে চাইলে মাউশির রাজশাহীর উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, আমি যোগ দেয়ার কিছু দিন আগে অভিযোগটি দাখিল হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্তের জন্য কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।