নীতিমালা লঙ্ঘন করে অধ্যক্ষ নিয়োগ চেষ্টা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি |

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে অধ্যক্ষ নিয়োগের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের বড় একটি অংশ বলছেন নিজের পছন্দের লোককে নিয়োগ দিতে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন গভর্নিং কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান।

শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২৬ সেপ্টেম্বর। এ পদের জন্য আবেদন করেছেন সাতজন শিক্ষক। এর মধ্যে দুজন স্নাতকে তৃতীয় শ্রেণি ও তিনজনের প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নয়। এদের

সবাইকে ডাকযোগে প্রবেশপত্র দিয়েছে অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ড। আজ প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সরকারি পরিপত্র ও জনবল কাঠামো বলছে বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে। তার মধ্যে একটিতে প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।

শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমানকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে যাদের ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯ মোতাবেক অভিজ্ঞাতার শর্ত পূরণ করেননি তাদের প্রবেশপত্র দেয়া হবে না। কিন্তু সাত আবেদনকারীর মধ্যে পাঁচজনকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে। অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার কাগজপত্র যাচাইয়ে দেখা গেছে আব্দুল জলিল ও আলকেশ উদ্দীনের স্নাতকে তৃতীয় শ্রেণি রয়েছে।আকতারুজ্জামান, আতিকুল ইসলাম ও এনামুল হক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান নন। অথচ তাদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়েছে অধ্যক্ষ নিয়োগ বোর্ড। শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডের সদস্যসচিব কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম আবেদনকারী সাতজনকে ডাকযোগে প্রবেশপত্র পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিনিধি অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডে আছেন। বিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকলে তিনিই ধরবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগ বোর্ডকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসরণ করে প্রবেশপত্র দিতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ড নিয়োগ অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারিশ পাঠাবে। যদি বিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে সুপারিশ অনুমোদন হবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048508644104004