নুসরাত হত্যা : প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ

ফেনী প্রতিনিধি |

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ২০ আগস্ট মঙ্গলবার তাঁর জেরা অনুষ্ঠিত হবে।

ফেনী জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, নুসরাত হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৬ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ সময় আদালতে মামলার ১৬ আসামি উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্য প্রদানকালে কামাল হোসেন বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল সকালে খবর পেয়ে দ্রুত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় যাই। সেখানে উপস্থিত হয়ে জানতে পারি নুসরাতকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একটি অটোরিকশাযোগে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর নুসরাতকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করলে আমি ওই মাদরাসায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। ৭ এপ্রিল নুসরাত হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করি। ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে উম্মে সুলতানা পপি ও সাইফুর রহমান জোবায়েরসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করি। পরে এ দুজন ছাড়া বাকিরা ছাড়া পান। ১০ এপ্রিল নুসরাত হত্যা মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের নির্দেশ এলে আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মামলার সব নথি হস্তান্তর করি।’

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করে পরে তা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করি।’

নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যায় সে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028140544891357