কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভারতের পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কাঁকড়ি নদীর তীরে অবস্থিত উপজেলাটির প্রায় প্রতিটি অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবনের সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ নেটওয়ার্ক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালের দিকে হঠাৎ নেটওয়ার্ক শূন্য হয়ে যায় এ উপজেলা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও মোবাইলে কল ঢুকছে না।
জানা গেছে, পাশের ফেনী জেলার বন্যার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে নিকটবর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলাতেও। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ এলাকা। ইন্টারনেট দূরের কথা, মোবাইল নেটওয়ার্কও মিলছে না।
রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, গ্রামীণ ফোনসহ সবগুলো অপারেটরের সিমে সংযোগ বন্ধ আছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলোর টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হচ্ছে।
এর আগে টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কাঁকড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হতে শুরু করে এ উপজেলার অনেক নিম্নাঞ্চল। বুধবার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলে বানের পানি গ্রাস করেছে। তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানিতে আটকে পড়া অনেক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।