স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ নয় ছাত্র-ছাত্রীরা, পরিবারেও নিরাপদ নয় শিশুরা। সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বাবা ও চাচা কর্তৃক শিশু তুহিন হত্যার ঘটনায় শিউরে উঠেছি। মনুষ্যত্বের নির্বাসনে পুরো সমাজ পশুত্বের নিগড়ে ঢুকেছে। সহিংসতা ও অস্থিরতার কারণ বিশ্লেষণ করলে আমাদের নিজেদের দিকেই আঙুল ওঠে। আমরা আপাদমস্তক মানুষ হতে পারিনি, নামমাত্র মানুষ পরিচয়ে পৃথিবীর আলো-বাতাস ভারী করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই আমাদের। সমাজে অহরহ অন্যায়-অবিচার সংঘটিত হওয়ার অন্যতম কারণ আমাদের নৈতিক অবক্ষয়। শনিবার (১৯ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও বলা হয়, সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনও নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার। এসব অস্থিরতা থেকে হুট করে পরিত্রাণ যেমন সম্ভব নয়, এগুলো চলতে দেওয়াও রাষ্ট্রের জন্য নিরাপদ নয়। অনৈতিক, অস্থিরতা সমাজ তথা রাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে হবে। অন্যায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অন্যায়ের প্রতিকারের অভাবে। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত নয়, তাই সংঘটিত অপরাধের যথাযথ বিচার হয় না। এটিই সবচেয়ে বড় কারণ সহিংসতার। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। দেশকে, পরিবারকে শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করতে হলে সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন, প্রয়োজন আইনের শাসন ও নৈতিক শিক্ষা।
মাজহারুল ইসলাম লালন : নকলা, শেরপুর।