নৈরাজ্য নয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে

মাছুম বিল্লাহ , দৈনিক শিক্ষাডটকম |

ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মানুষ অতিষ্ঠ। এর সমাধান কোথায়? এমন প্রশ্নে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অনেকবার বলা হয়েছে শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ বহু সংগঠন আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। শিক্ষা উপদেষ্টার একার পক্ষে এসব সামাল দেয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন না করে, মানুষের দুর্ভোগ না বাড়িয়ে তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে তার কাছে যেতে বলেছেন। শিক্ষার্থীদের কিছু ন্যায্য দাবি সমাধানের আশ্বাস দেয়ায় আন্দোলন অনেক জায়গায় বন্ধ হয়েছে। কিন্তু কিছু অন্যায্য এবং দীর্ঘসূত্রতার দাবি নিয়ে এখনো শিক্ষার্থীরা ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছেন, যা যৌক্তিক নয়। 

অতি সম্প্রতি আমরা দেখলাম ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং এই সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ প্রত্যক্ষদর্শীরা। একদিন আগে ঘোষণা দিয়ে একদল শিক্ষার্থী ভাঙচুর করলো অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানকে নিতে হবে জনগণ বলছে। ড. মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, সকাল থেকেই আমরা আমাদের কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম।

তখন আমরা ছিলাম ২০০ জনের মতো, কিন্তু হঠাৎ করেই হাজারো শিক্ষার্থী এসে একসঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় কারো হাতে রামদা, কারো হাতে বিদেশি অস্ত্র এমনকি বোমাও ছিলো। ফলে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বন্ধু-বান্ধব মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এই সুযোগ তারা কলেজে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

জানা যায়, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ড. মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এর প্রতিবাদে মোল্লা কলেজেসহ ২৫টি কলেজ একত্রে আন্দোলন করতে গিয়েছিলো। এটিও শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। তারা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে প্রতিবাদ জানাবেন। সোহরাওয়ার্দী কলেজের কিছু শিক্ষার্থীও সেখানে ছিলেন। পরে টাকা খেয়ে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চলে যান। কিছু শিক্ষার্থীদের মাথাও ফাটিয়ে দেয়া হয়।

এভাবে তারা দুদিন পিটিয়েছে। তারপর মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে গেলে তাদের ওপর তারা আক্রমণ চালায়। মোল্লা কলেজের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট, ল্যাব, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুলের শিক্ষার্থীরা এসে তছনছ করে ফেলেছে। কলেজের ভেতর এমন কোনো জিনিস নেই যা অক্ষত অবস্থায় আছে। কোথাও যেনো আইনের কোনো শাসন নেই। রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মূল শিক্ষা গ্রহণে রয়েছে খাদ। তারা কী শিখছেন, কী জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন সেটি তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তারা সবাই চর দখলের মতো, পেশিশক্তি প্রয়োগের নেশায় যেনো সবাই বুঁদ হয়ে আছেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোনো সমস্যার সমাধান, কোনো দাবি আদায়, জাতীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভূমিকা রাখা-এগুলো সবই তাদের শিক্ষার বাইরে থেকে গেছে। 

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ  অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে তুলছে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিকতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। কোনো সমস্যায় পড়লে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ না হয়ে নিজেরাই প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করছেন, ধ্বসাংত্মক হয়ে পড়ছেন, রক্তারক্তির ঘটনা ঘটাচ্ছেন। যৌক্তিক হোক আর অযৌক্তিক হোক কাউকে জিম্মি করে তাদের দাবি আদায় করার চেষ্টাই যেনো তাদের শিক্ষা।

শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কোনো মহল ইন্ধন দেয়ার চেষ্টা করছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না, এই ট্র্যাডিশন বহু বছর থেকেই চলে আসছে। তবে, এর লাগাম টানতে হবে। দেখেশুনে প্রতিষ্ঠানে পদায়ন, নির্বাচন  ও নিয়োগ করতে হবে। তাদের দক্ষ প্রশাসক ও ভালো শিক্ষক হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা  ও নিয়মনীতি যথাযথভাবে পালন করার জন্য তাকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে হবে।

আর এজন্যই যাকে তাকে প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও ভিসি নিয়োগ করা যাবে না। সর্বোপরি শিক্ষা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনকে সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে যথাযথভাবে সহায়তা করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। যখন তখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা যা ইচ্ছে প্রতিষ্ঠানে এসে তাই করবেন আর প্রধানরা তাদের অযৌক্তিক দাবি ও উশৃঙ্খলতা মেনে নেবেন, সেটি আর চলতে দেয়া যায় না।

কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছে, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাচারিতা আর রাজনীতির দুষ্ট ছায়া থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মুক্তি দিতে হবে। নিয়ম শৃঙ্খলা, আইনের শাসনের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এখানে কঠোর হতে হবে। বর্তমানে রাজনৈতিক সরকার নেই, এখন বিষয়টি নিশ্চিত করা আরো সহজ। রাজনৈতিক সরকার যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে, তাদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা, শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক ক্যাডার, পাতি নেতা কিংবা নেতা তাদের কাজে যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারেন। সেই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। তা না হলে কিসের জন্য রাজনীতি, কিসের জন্য রাষ্ট্রীয় সব বাহিনী? ভবিষ্যৎ প্রজন্মই যেখানে রসাতলে যাচ্ছে সেখানে এসব দিয়ে হবে?

শিক্ষার্থীদের মুল কাজ নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসা, পড়াশোনা অনুশীলন করা, বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার চর্চা করা, নিয়মকানূন, আইনশৃঙ্খলা মানতে শেখা। জাতীয় কোনো প্রয়োজনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করা। কিন্তু এসব বাদ দিয়ে ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কলেজের শিক্ষার্থীরা আরেক কলেজে হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছেন। ঢাকা কলেজের সঙ্গে সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফা হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে কদিন আগে। সম্প্রতি বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

চা খাওয়া সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে, এতে প্রায় ৩০ জন আহত হন। এভাবে সামান্য ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষার্থীরা, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা একে অপরের শক্তি প্রয়োগের এবং পেশিশক্তি প্রদর্শনের খেলায় মেতেছেন যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বহু শিক্ষার্থীদের জীবন দিতে হয়েছে, অনেক সারাজীবনের জন্য কোনো না কোনো অঙ্গ হারিয়েছেন, কেউ কেউ এখনো হাসপাতাল কিংবা বাড়ির বেড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এগুলো চিন্তা না করে রক্ত গরম করা কাজ শিক্ষার্থীদের যে বন্ধ করতে হবে তা তারা বুঝতে পারছেন না। তারা কলেজ পাস করুক আর বিশ্ববিদ্যালয় পাস করুক, মূল শিক্ষা থেকে তারা যোজন যোজন দূরত্বে অবস্থান করছেন। তাই পারিবারিক, ক্লাস ও প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে মানবিকতা, ধৈর্য্য, সহমর্মিতা অবশ্যই শেখাতে হবে। শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে শিক্ষকদের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে তা না হলে এ সমাজের পচন বন্ধ করা কষ্টকর হবে। ক্রমেই যেনো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুকে পেজে লিখেছেন, একটি দল দেশি-বেদেশি সুযোগ সন্ধানী এস্টাবলিশমেন্ট গত তিন মাসে ছাত্রদের সম্মানহানি করেছে, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে, একটি তরুণ দলকে অন্যদের ওপর লেলিয়ে দিচ্ছে। ‘বড় কোনো পরিকল্পনা না থাকলে একদিনে এতোগুলো ঘটনা ঘটতো না। এটা কাকতালীয় না’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব তার ফেসবুকে লিখেছেন, শত চেষ্টার পরেও, বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরেও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেলো না। অ্যাগ্রিসিভনেস ও প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্ট্রেট অ্যাকশনে যায়নি। কোনো প্রকার অ্যাকশনে গেলোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো। সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি একত্রে দেশ গড়ার সময়ে সংঘর্ষের মতো নিন্দনীয় কাজে জড়ানোর দুঃখজনক।

 যে শিক্ষার্থীরা মানবিকতা শেখেনি, ধৈর্য ধরা শেখেনি, সহপাঠীদের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন জানেন না তাদের এভাবে আর করতে দেয়াটাও এক ধরনের অন্যায়। আর সাধারণ মানুষ, তাদের কাজ ও ব্যবসা বাণিজ্য দেখার দায়িত্ব যেহেতু রাষ্টের তাই পুলিশকে এভাবে আর নীরব ভূমিকায় থাকতে দেয়াটা কতোটা যুক্তিসংগত সেটি দেখার সময় এসেছে। শিক্ষা উপদেষ্টার কাজ দেশের শিক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলোকে এগিয়ে নেয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করা। হাজারো সমস্যার মধ্যে সেই কাজগুলো করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য ও সংঘর্ষ বন্ধ করা, শিক্ষার্থীদের বোঝানো আর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের আনার সময় কোথায়? তাকে সহায়তা করা সব শিক্ষক, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাজ। সবাই সবাইকে সহযোগিতা না করলে, এগিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীদের এই নৈরাজ্য গোটা জাতিকে গ্রাস করবে, সেটি থেকে তখন কেউই রোহাই পাবে না। কাজেই এভাবে শিক্ষার্থীদের পেশিশক্তি প্রদর্শন আর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। 
দেশ ও জাতির ক্রান্তি লগ্নে যে ছাত্রসমাজ বরাবরই সোচ্চার থেকেছেন আজ তারা কেনো এতো কলহে লিপ্ত হচ্চেন? তাদের সব অর্জনই প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিংবা যারা আত্মত্যাগ করেছেন, দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তাদের কপালে কালিমা লেপন করা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী নেতারাসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ঐক্য ধরে রাখতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রনেতারা। পাশাপাশি তারা সরকারকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করা না গেলে এমন সংঘাতের ঘটনা বাড়তেই থাকবে। অন্যদিকে সরকার পুলিশ প্রশাসনের কারো ব্যর্থতা থাকলে তারেও পরিবর্তনের কথা জানান। 

যেকোনো কারণেই হোক সংঘাত-সংঘর্ষ কাম্য হতে পারে না। কোনো পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যাতে আইন হাতে তুলে না নেয় সেজন্য শ্রেণিশিক্ষক থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান পর্যন্ত সবাইকে কঠোর হতে হবে ও তাদেরকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে হবে। তারা যাতে সমাজের সহযোগিতা পান সে অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আর এসব কাজে ছাত্র সংসদ কিংবা বিশেষ কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগোতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য অভিভাবক সভা, নাগরিক সভার আয়োজন করা প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখতে হবে। অবরোধ ভাঙচুরসহ কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কখনোই দাবি আদায়ের মাধ্যম হতে পারে না। দেশের ছাত্রসমাজ দেশ গড়ার সহযোগী ও অংশীদারও বটে। তাদের ধৈর্যের পরিচয় দিতেই হবে। 

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটির রায় স্থগিত - dainik shiksha ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটির রায় স্থগিত শ্রেণিকক্ষ এনজিওর কাছে ভাড়া, সেই শিক্ষককে শোকজ - dainik shiksha শ্রেণিকক্ষ এনজিওর কাছে ভাড়া, সেই শিক্ষককে শোকজ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি, সেই আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি, সেই আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত সিডি ও নোট-গাইডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে কমিটি - dainik shiksha সিডি ও নোট-গাইডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে কমিটি অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা স্কুলে ভর্তি আবেদন শেষ: ডিজিটাল লটারি ১২ ডিসেম্বর - dainik shiksha স্কুলে ভর্তি আবেদন শেষ: ডিজিটাল লটারি ১২ ডিসেম্বর ইএফটিতে বেতন: নতুন সময়সূচি এমপিও শিক্ষকদের তথ্য দেয়ার - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন: নতুন সময়সূচি এমপিও শিক্ষকদের তথ্য দেয়ার কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026998519897461