ন্যাটোতে যোগদানের অংশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নথিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং সেটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এর কাছে হস্তান্তর করেছেন।
ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগাযোগদানের ফলে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কারণ ইউক্রেন ন্যাটোতে যুক্ত হতে পারে এ আশঙ্কা থেকে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া।
ন্যাটোর সদস্য হিসেবে ফিনল্যান্ড যোগদান করায় এখন সীমান্ত নিয়ে রাশিয়াকে আরও বেশি দুঃচিন্তার মধ্যে পড়ে হবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকব বলেন, ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিল রাশিয়া। ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের ফলে রাশিয়ার নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থ হুমকির মুখে পড়ে গেল। কারণ ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের রাশিয়া হামলার চালানোর পর সুইডেনেও ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে।
এর আগে উভয় দেশ জোটনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন আগ্রাসনের পর তারা ন্যাটোর আর্টিকেল ফাইভের সুরক্ষা বেছে নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে একজন সদস্যের ওপর হামলা সবার ওপর আক্রমণের সামিল।
এখন যদি ফিনল্যান্ডের ওপর কেউ হামলা চালায়। তাহলে দেশটিকে রক্ষা করার জন্য ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র হামলা চালাতে পারবে।
ফিনল্যান্ডের নাগরিকরা বলছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার চালানোর কারণে আমাদের ন্যাটোতে যোগদানের মাত্রা ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়।
ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ফিনল্যান্ড এখন নিরাপদ এবং এরই মধ্য দিয়ে ন্যাটো আরও শক্তিশালী হল।
মূলত ন্যাটো যেন ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি নজর না দেয় এবং ইউরোপের দেশগুলো যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয়, সে লক্ষ্যে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। কিন্তু আদতে এর বিপরীত ঘটেছে। ফিনল্যান্ডের পর এবার ন্যাটোতে যোগদানের অপেক্ষায় আছে সুইডেন।
সূত্র : বিবিসি