পঁচাত্তরের খুনিদের নাম ইতিহাসে রাখতে কমিশন গঠনের দাবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর

ঢাবি প্রতিনিধি |

১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের অনেকের বিচার করা হলেও নেপথ্যে থেকে যারা এই খুনের ইন্ধন যুগিয়েছিলো তাঁরাসহ যারা মারা গেছেন, তাঁদের নাম ইতিহাসে রাখতে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক। 

মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ দাবি জানান।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু এই খুনের নেপথ্যে থেকে যারা ইন্ধন যুগিয়েছিলো তাঁদের বিচার হয়নি। আগামী জানুয়ারিতে ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুসহ যাদের হত্যা করা হয়েছিলো, দেশে-বিদেশে থাকা ওই খুনিদের চিহ্নিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ২৩ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারে, ২১ বছর যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পারেন, তাহলে নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা সেই ক্ষমতা রাখেন। আবার কমিশন করে প্রকৃত দোষীদের যারা মারা গেছে এই খুনের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের নাম ইতিহাসে থাকতে হবে। সেই জন্য একটি কমিশন করার দাবি জানাই। 

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ তার সপরিবারকে হত্যা জিয়াউর রহমান মাস্টার মাইন্ড। খুনিরা বুঝেছিলো বঙ্গবন্ধু রক্তের ছিটে-ফোঁটা যদি থাকে তাঁকে ঘিরে বাংলার মানুষ আবার ঐক্যবদ্ধ হবে এবং রুখে দাঁড়াবে। তাই কাউকে তারা রক্ষা দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর সন্তান, ভাই, ভাগনে, ভগ্নিপতি কেউ রক্ষা পাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ ও তার বোন বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেঁচে যায়। বেঁচে গেলেও ১৯ বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আজও সেই চেষ্টা চলছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে জীবনকে বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করেছিলাম। এবার আবার তাঁর কন্যার নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যালট যুদ্ধে আগামী জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, সেই দিন ব্যালট যুদ্ধে আবার ওদেরকে পরাজিত করা হবে যেমনটা ৭১ এ পরাজিত করা হয়েছিলো ঠিক তেমনি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে তাদের পরাজিত করা হবে। 

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026798248291016