বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৮২ প্রার্থীর শিক্ষক পদে সুপারিশ থেকে বাদ পড়ার টেনিক্যাল কারণ বিশেষজ্ঞ দিয়ে বের করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনারোধে নেয়া পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮২ জনের চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে বাদ পড়ার টেকনিক্যাল কারণ বিশেষজ্ঞ দ্বারা বের করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনারোধে নেয়া পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
এর আগে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ পেলেও চূড়ান্ত সুপারিশে টেকনিক্যাল কারণে বাদ পড়া ৮২ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত সুপারিশে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলো এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও টেকনিক্যাল কারণে যারা চূড়ান্ত সুপারিশ পাননি তাদের ৮২ জনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় যা সিদ্ধান্ত দেবে তা-ই বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকায় দেখা যায়, আইসিটি, ফিনান্স–ব্যাংকিং ও বিমা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিভাগের প্রভাষক পদের প্রার্থীরা রয়েছেন। যাদের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও টেলিটকের টেকনিক্যাল কারণে চূড়ান্ত সুপারিশ করা যায়নি।
গত ১৯ আগস্ট পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এতে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২২ হাজার ৩৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে ১৯ হাজার ৫৮৬ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো, সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত।