আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার (২৯ নভেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৪ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয়কে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে একজন আহ্বায়ক ও তিনজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। বাকি ৯৭ জন সদস্য। কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
তিনি আওয়ামী লীগের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি উন্নয়নে জয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তি-নির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লক্ষ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।