নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্রদল নেতা আশরাফুলের (২২) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান (৩৫) মারা যান। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। আশরাফুল পৌর শহরে সাটিরপাড়া এলাকার নাজমুল হকের ছেলে। আর সাদেকুর রহমান (৩৫) নরসিংদী শহরতলী বাদুয়ারচর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতারা একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলখানা মোড় হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যাবার পথে প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে সাদেকর রহমান ও আশরাফুল নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের গ্রুপটি দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে এবং মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রদল নেতাদের মারধর করে। এতে আরও চার ছাত্রদল নেতা আহত হয়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ সাদেকুল ও আশরাফুলকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকায় নেওয়ার পথে সাদেকুর মারা যান। একদিন পর শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অপর ছাত্রদল নেতা আশরাফুল মারা গেলেন।
পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, বৃহস্পতিবার সাদেক মারা যায়। আর আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুলও মারা গেল। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন। কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে তাঁর অনুসারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এর জেরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও গুলির ঘটনা ঘটে।