পদবি পরিবর্তনের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন কর্মচারীরা আগামী ২৮ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই তাদের এইসব কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও এর অধীনস্ত সব অফিস ও সরকারি স্কুল-কলেজের কর্মচারীরা কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এই সময়ে নেতৃবৃন্দ নতুন কর্মসূচির কথা জানান। সকাল দশটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ’- এর উদ্যোগে শিক্ষাভবনের সামনে এবং শিক্ষা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীগণ কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।শিক্ষা ভবনের সামনে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচীতে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি কাবুল হোসেন মোল্যা ও সাধারণ সম্পাদক মো: বেল্লাল হোসেন এবং পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষাভবনের সকল কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্যপরিষদের মহাসচিব নাসির খান এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ অংশ নেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সচিবালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, হাইকোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের অফিস, সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, হিসাবরক্ষক কাম ক্লার্ক, হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটাএন্ট্রি অপারেটরসহ সমপদের প্রায় ১৪শ কর্মচারী পদবী ও আর্থিক বৈষম্যের শিকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তিনবার পদবী ও বেতনগ্রেড পরিবর্তনের সুপারিশ করলেও মাউশি অধিদপ্তরসহ সারাদেশের অন্যান্য সরকারী দফতর ও সংস্থায় কর্মরত বর্ণিত পদগুলো আগের পদবী ও বেতন স্কেলেই রাখা হয়েছে।
কর্মসূচি পালনকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: বেল্লাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভেতর ও বাইরে সরকারি দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সাঁটলিপিকারসহ সমপদের পদবি ও বেতন স্কেল এক এবং অভিন্ন ছিল। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের প্রজ্ঞাপন দিয়ে তৎকালীন সরকার শুধু সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদবিসহ ১০নং গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
অথচ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর প্রধান সহকারী, উচ্চমানসহকারী, হিসাবরক্ষক কাম ক্লার্ক, হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটাএন্ট্রি অপারেটরসহ সমপদের প্রায় ১৪শ কর্মচারী একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চাকুরিতে যোগদান করে এখনো একই পদে রয়েছেন। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যেও সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, কর্মচারী সংগঠনের দাবী দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পরপর ৩ বার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারীসহ সমপর্যায়ের পদগুলোর পদবী ও বেতনস্কেল পবিরর্তন করে বৈষম্য নিরষণের সুপারিশ করা সত্ত্বেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশটি বাস্তবায়ন করছেনা।তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩ বারের সুপারিশ এবং ১০ম জাতীয় সংসদের মাননীয়বিরোধী দলীয় নেতার এতদবিষয়ে জাতীয় সংসদে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ সত্ত্বেও কেন বৈষম্য দূর করা হচ্ছেনা তা আমাদের বোধগম্য নয়।সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন আরো বলেন, কর্মচারীদের পদবি ও বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিজয়ের মাসেই পদবী ও বেতন বৈষম্যের অবসান চান। অবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতি কাবুল হোসেন মোল্যা ও সিনিয়র সহসভাপতি মো: নিজামুল কবির একই দাবী নিয়ে বক্তব্য দেন।