পদোন্নতির দাবিতে পাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষক

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি |

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল আলীম। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, শিক্ষক আবদুল আলীম দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে এসে তালা ভেঙে ভবনে প্রবেশ করেন। পরে শিক্ষক আবদুল আলীম ভবনের সামনে বসে পড়েন।

শিক্ষক আবদুল আলীম জানান, চার বছর আগে তাঁর পদোন্নতির নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেছেন তিনি। পদোন্নতি কমিটিও তাঁর পক্ষে সুপারিশ করেছে। এরপরও একটি সিন্ডিকেট তাঁর পদোন্নতি আটকে রেখেছে। সে জন্য প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি।

শিক্ষক আবদুল আলীম বলেন, পদোন্নতি আমার প্রাপ্য অধিকার। আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না পাব, ততক্ষণ প্রশাসনিক ভবনের সামনেই বসে থাকব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি বিষয় নিয়মে চলে। নিয়মের বাইরে আমরা কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা উপাচার্যের নেই। রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত না দিলে পদোন্নতি হবে না, এটিই স্বাভাবিক। 

উপাচার্য আরও বলেন, ওই শিক্ষকের পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। একজন শিক্ষক হয়ে বিষয়টি না বুঝলে কিছু করার থাকে না। শিক্ষক হয়ে পিয়নের কাছ থেকে চাবি কেড়ে ভবনে তালা দেওয়া ভালো দেখায় না। শিক্ষকের এই আচরণ কষ্টকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির। আবদুল আলীম শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে সোচ্চার হন তারা। তখন উপাচার্যের সঙ্গে আলীমের মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এরপরই আটকে যায় আবদুল আলীমের পদোন্নতি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028350353240967