আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পর্যুদস্ত শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি। ফলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ অক্টোবর প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বন্ধ থাকা ৪র্থ বছরে পদার্পণ করেছে। তবুও মন্ত্রণালয়ের কোনো মাথা ব্যথা নেই! বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির প্রধান পদে রয়েছেন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা। মানে মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তবে, চূড়ান্ত পদোন্নতিতে মন্ত্রীর ইচ্ছাই সব।
শিক্ষা ক্যাডারে বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদের বিপরীতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সেজন্য পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক একটা বৈষম্য থাকে। প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য এ পর্যন্ত সাতবার ডিপিসির সভা বসেছে। সরকারি আদেশ বা জিও আটকে রয়েছে।
দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর অনুসন্ধান বলছে, প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তার স্ত্রী কিংবা শ্যালিকা কিংবা ভাইকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য যেকোনো শর্টকাট পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কোনো কোনো নেতা কিংবা তাদের স্ত্রী অথবা স্বামী অথবা শিক্ষামন্ত্রীদের পিএস/এপিএসদেরকেও শর্টকাট পদ্ধতিতে পদোন্নতি নজির রয়েছে। জামাত-বিএনপি জমানায় এই চর্চা বেশি ছিলো। শুক্রবার দিনও পদোন্নতির আদেশ জারি হয়েছে।
সংক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা ক্যাডারের ২৮বিসিএস এর কর্মকর্তা এখনও প্রভাষক, সেখানে ২৭ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। শিক্ষা ক্যাডারের নবীন সদস্যরা হাতাশায়।
জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ১৪৯৭ জনের পদোন্নতির সবকিছু ঠিকঠাক। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রীর বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। যাওয়ার আগে পদায়নসহ পদোন্নতি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।