পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদসেদ্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মানিকগঞ্জের পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ফেরি দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাকে বলা হয়েছে, ওখানে ফেরি নোঙর করা ছিল, বাল্কহেড ধাক্কা দিয়েছে। আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না আসলে কোনটা সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না কোনটা সত্য। এখানে অন্য কোনো দুর্বলতা বা অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, এর মধ্যে বলতে পারি না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ঘন কুয়াশার কারণে পাটুয়ারিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে আটকে পড়ে নদীতে নোঙর করে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর ডুবতে থাকে ফেরি।
পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার সময় ফেরিতে ৯টি যানবাহন ছিল, যার সবই ছোট-বড় ট্রাক। এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনকে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির সহকারী চালক হুমায়ূন কবির (৩৯)।
দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবালয় থানার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান মজিবুর রহমান। পাশাপাশি স্থানীয়রাও যোগ দিয়েছেন উদ্ধারকাজে।
এদিকে, সকালে সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দৌলতদিয়া ঘাট হতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। একই সাথে মাওয়া ঘাট হতে রুস্তমও যাত্রা শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কারণে দেরিতে রওনা করেছে হামজা ও রুস্তম।