পদ্মায় তলিয়ে যাওয়া স্কুলটি এক মাসেই নির্মাণের আশ্বাস উপমন্ত্রীর

শরীয়তপুর প্রতিনিধি |

নড়িয়ার ৮১ নম্বর বসাকের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এক মাসের মধ্যে নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। আজ শুক্রবার ভাঙনকবলিত চরআত্রা ইউনিয়নের বসাকের চর এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বসাকের চর এলাকার ভাঙনে গৃহহীন ১৫৫টি পরিবারকে পাঁচ হাজার করে টাকা, শাড়ি-লুঙ্গি ও খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪০ শতাংশ জমিসহ ৮১ নম্বর বসাকের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি একতলা ও একটি দোতলা ভবন পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন তীব্র থাকায় দুই দিনে ওই চরের ১৫৫টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।

পদ্মা নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের একটি মৌজা বসাকের চর। দুর্গম ওই চরের চারদিক দিয়ে পদ্মা নদী। এমন একটি চরেই গৌরবের সঙ্গে ৭৮ বছর ধরে শিশুদের পাঠদান করানো হতো বিদ্যালয়টিতে। গত বছর বিদ্যালয় থেকে নদীর দূরত্ব ছিল ৫০০ মিটার। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় গত বছর থেকেই বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। গত দুদিনে জমিসহ বিদ্যালয়টি পদ্মায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে বসাকের চর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৭৮ বছরের স্মৃতিবিজড়িত স্কুলটির আর কোনো চিহ্নই নেই। আগ্রাসী পদ্মায় হাজারো শিশুর ভালোবাসার বিদ্যাপীঠটির ধসে যাওয়া দেখে উপমন্ত্রী এগিয়ে এসেছেন। তিনি সাত দিনের মধ্যে জমি ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আর ৩০ আগস্টের আগেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করে দেবেন।

নড়িয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চান এক মাসের মধ্যেই পদ্মায় বিলীন হওয়া বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণ করা হোক। সে অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন কাজ করবে। আর ওই এলাকায় ভাঙনে গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করারও উদ্যোগ নেয়া হবে।

শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রমত্তা পদ্মার করাল গ্রাসের কাছে সবাই পরাস্ত হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের শিশুরা যাতে কষ্ট না পায়, তাদের পাঠদান ব্যাহত না হয়, তার জন্য এক মাসের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। সাত দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন জমি নির্ধারণ করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বলেছেন। জমি পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038249492645264