মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশ ও ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ পবিত্র হজ শুরু হচ্ছে আজ। এরই মধ্যে পবিত্র হজ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জড়ো হয়েছেন লাখ লাখ মুসল্লি। তাদের ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে আজ মুখরিত হবে মক্কার আরাফাত ময়দান।
গতকাল সৌদি আরবের মিনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজিরা। মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে মিনা। মিনায় গাড়ি বা হেঁটে যাচ্ছেন মুসল্লিরা। হজের অংশ হিসেবে হাজিরা আজ ৮ জিলহজ মিনায় সারাদিন থাকবেন। আগামীকাল ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
আগামী রোববার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন তারা। মিনায় এসে বড় জামারাকে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সায়ি শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ (সোমবার) ও ১২ জিলহজ (মঙ্গলবার) অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। মিনায় (জামারাত) শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ (মোয়াচ্ছাসা) হাজিদের ভাগ ভাগ করে জামারাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে গেছেন এক লাখ ২৭ হাজার জন। বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হাজিরা জামারাতের কাছে মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে। মিনায় হাজিদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে পাঁচ দিন বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানা গেছে।