পরিচয় গোপন করায় শ্রুতিলেখককে জরিমানা, পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীর দশমিনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর শ্রুতি লিখতে গিয়ে আটক হয়েছেন মারুফা আক্তার নামের স্নাতক (অনার্স) প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। পরিচয় গোপন করে শ্রুতিলেখক হওয়ায় মারুফা আক্তারকে জরিমানা এবং ওই কেন্দ্রের সচিব সালাহউদ্দিন সৈকতকে অব্যাহতি দিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থী জিনাত জেরিন সুলতানাকে বহিষ্কার করে দুই বছরের জন্য পরীক্ষায় অযোগ্য ঘোষণা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দশমিনা মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের আলিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থীর শ্রুতিলেখকর প্রয়োজন হলে, শ্রুতিলেখক সর্বোচ্চ অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হতে পারবে। কিন্তু জিনাত জেরিন সুলতানার শ্রুতিলেখক হিসেবে বোর্ড থেকে যে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে তাতে মারুফা আক্তারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মারুফা আক্তারকে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দাবি করা হয়েছে। যেখানে তাঁর রোলনম্বর ২১৫ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ওই নামে এবং রোলে কোনো ছাত্রী নেই। মারুফা আক্তার মূলত ২০২২ সালে আলীপুর কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কিন্তু মারুফা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পরিচয়ে জিনাত জেরিন সুলতানার হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সালাহউদ্দিন সৈকত কেন্দ্রের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রুতিলেখক মারুফা আক্তারকে তিনি তাঁর বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হিসেবে মিথ্যা প্রত্যয়ন দিয়েছেন। মিথ্যা তথ্য এবং জালিয়াতির অভিযোগে কেন্দ্রসচিব সালাহউদ্দিন সৈকতকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হয়েছে।’ 

ইউএনও আরও বলেন, ‘পরীক্ষার্থী জিনাত জেরিন সুলতানাকে কেন্দ্রসচিব বহিষ্কার করেন এবং দুই বছরের জন্য পরীক্ষার অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া শ্রুতিলেখক মারুফা আক্তার দাবি করেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে এই কাজে বাধ্য করা হয়। এ কারণে মারুফা আক্তারকেও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

 

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028910636901855