পরিত্যক্ত ভবন, গাছতলায় ক্লাস

বরগুনা প্রতিনিধি |

ভবন না থাকায় আমতলীর পূর্ব তারিকাটা এসটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে গাছতলায় ক্লাস করছে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসসহ লেখাপড়া করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভবনের এমন অবস্থা হওয়ায় ভেঙে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।

বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে আমতলী উপজেলা এলজিইডি ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪ কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করে। ভবনটি নির্মাণের পর ৩১ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। সংস্কার না করায় দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। দরজা-জানালা বলতে কিছুই নেই। লোহার বিমের ঢালাই খসে পড়ে রডগুলো বেরিয়ে গেছে। বিদ্যালয় ভবনের ছাদে অসংখ্য ফাটল ধরেছে। ছাদে ফাটল ধরায় বৃষ্টি এলেই ছাদ চুইয়ে ভেতরে পানি পড়ে মেঝে তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় ৫ বছর আগে বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আমতলী শিক্ষা অফিস ও এলজিইডি কার্যালয়।

এমনকি ভবনের ভেতরে যাতে কোনো ছাত্রছাত্রী প্রবেশ না করে, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবনের এমন অবস্থা হওয়ার কারণে নিরুপায় হয়ে শিক্ষকরা গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় স্কুলের সামনে টিনের ছাপড়া দেওয়া একটি একচালা বারান্দায় ক্লাস নিতেন। সেটিও অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানি পড়ে। বিদ্যালয়টিতে দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ছোট্ট একচালা টিনের ছাউনিতে শিক্ষার্থীদের সংকুলান হয় না। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের পাশে গাছতলায় ক্লাস নিচ্ছেন। শুকনো মৌসুমে রোদে পুড়ে এবং বর্ষার সময় বৃষ্টিতে ভিজে চলছে পাঠদান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে গাছতলায় ক্লাস করছি।

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বিদ্যালয়টির ভবন না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে ভবন নির্মাণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045158863067627