পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই চার ছাত্রী পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাচ্ছেন না। পরিবারের কাছে ফিরতে না চাওয়ায় তাদের নিরাপদ হেফাজত বা সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার দুপুরে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হলে বিচারক কামরুল আজাদ এ আদেশ দেন।
মঠবাড়িয়া থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর দারুল সালাম এলাকা থেকে ওই চার ছাত্রীকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, নিখোঁজ চার ছাত্রী ঢাকার দারুল সালাম এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়ায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তারা পরিবারের কাছে যেতে না চাওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক ওই চার ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার আদেশ দেন।
গত ৩০ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে ওই চার ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিলো। খোঁজাখুঁজির পর তাদেরকে না পেয়ে মঠবাড়িয়া থানায় পৃথকভাবে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তাদের অভিভাবকরা। ওই চার ছাত্রীর মধ্যে দুজন কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অন্য দুজন নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা-বিভাগসহ জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন।