পরীক্ষায় নকল: লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোচিং ব্যবসায়ী অভিযুক্ত

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার জন্য বিদেশীদের যে পরীক্ষা দিতে হয় তাতে নকল সরবরাহের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ কোচিং ব্যবসায়ী। আবেদনকারীদের পরীক্ষায় পাসের ব্যবস্থা করে দিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহের ব্যবস্থা করত। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ রকম বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা পাসের ব্যবস্থা করে দেয়।

পরীক্ষাটির নাম ‘লাইফ ইন দ্য ইউকে।’ যুক্তরাজ্যে থাকতে হলে যেসব আইন-কানুন, রীতি-প্রথা মেনে চলতে হয়, সেসবের বিষয়ে আবেদনকারীর ধারণা পরখ করতে নেয়া হয় এই পরীক্ষা। অভিবাসনের অনুমতি পেতে এই পরীক্ষায় পাস করা বাধ্যতামূলক। 

বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রে উত্তর দিতে হয় প্রার্থীদের। গত বছর প্রায় দেড় লাখ লোক ‘লাইফ ইন দ্য ইউকে’ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। প্রতি পাঁচ জনে ফেল করেছে একজন। ২৪টি প্রশ্নের মধ্যে পাস করতে হলে অন্তত ১৮টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হয়। সময় ৪৫ মিনিট। 

এই পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিবিসি অনুসন্ধান শুরু করে। তারা জানতে পারে, লন্ডনের আশপাশে অবস্থিত কিছু কোচিং সেন্টার প্রার্থীদের দুই হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে নকল সরবরাহ করে। এসব প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার নামে তাদের কার্যক্রম চালায়। পরীক্ষার্থীর কানে ব্লুটুথ ইয়ারফোন লাগানো থাকে, সেই সঙ্গে থাকে একটি গোপন মোবাইল ফোনসেট। 

পরীক্ষার প্রশ্ন জানার পর বাইরে থেকে ফোনে উত্তর বলে দেয়া হয়। বিবিসির ধারণকৃত ভিডিওতে পূর্ব লন্ডনে অবস্থিত ‘আইডিয়াল লার্নিং অ্যাকাডেমির’ পরিচালক আব্দুল রাজাকে বলতে দেখা গেছে, ‘সবকিছুর ব্যবস্থা করা হবে। তারা সব উত্তর বলে দেবে।’ আব্দুল রাজা একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী। তার মতো আরও অনেকে এমন কাজে জড়িত। 

এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় যেসব কেন্দ্রে, সেসব কেন্দ্রে নজরদারি ব্যবস্থা কঠোর হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কেন্দ্রগুলো আউটসোর্সড। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মন্তব্য করেছেন, পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো যাদের তত্তাবধানে আছে, তাদের উচিত ছিল আরও ভাল নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। তারা পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি নেয়ার ব্যবস্থাও করতে পারত। যেসব পরীক্ষাকেন্দ্র যথাযথভাবে পরিচালনা করা হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046169757843018