সাবিহা সুমি, দৈনিক শিক্ষাডটকম : শিক্ষামন্ত্রীর সাফ ঘোষণা ছিলো তিনি নিজে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে যাবেন না। পরীক্ষা দেখার নাম করে কেন্দ্রে ঢুকে ছবি তুলে ও ভিডিও করে পরীক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট ও মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটাতে সবার প্রতি অনুরোধও করেছিলেন মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষার আইন বিরুদ্ধ কাজটি বরাবরের মতোই করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও প্রচার মাধ্যম। গতকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে ছবিও তুলেছেন, ভিডিও করেছেন তারা। সেগুলো আবার ছড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। মূল ধান্দা নিজেদের প্রচার বাড়ানো।
তবে, এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সতর্ক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে সতর্কবাতাটি দেয়া হয়।
আরো পড়ুন : শাবাশ শিক্ষামন্ত্রী
আরো পড়ুন : পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সতর্কবাতায় বলা হয়েছে, “কিছু দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের পেইজের বরাতে প্রচারিত একটি ছবির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন শিক্ষার্থী বিষন্ন চেহারায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। ছবিটিতে প্রচারিত হচ্ছে, শিক্ষার্থী মাতৃহীন হয়েছেন এবং বিষন্ন অবস্থায়, ভগ্নহৃদয়ে, এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। হৃদয়বিদারক এই ছবিটির আইনি বৈধতা এবং নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
যে গণমাধ্যম বা কর্মী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার চেষ্টা থেকে, আইনদ্বারা প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত কেন্দ্রে/জায়গায়, একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীর ছবি বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করে, তার মায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি ছড়িয়ে, তাকে আরো মানসিক চাপের মধ্যে ফেলেছে, সেই ব্যক্তি বা মাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ জানাবে, এবং, নিজস্ব আইনি এখতিয়ার অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
মাতৃহারা শোকাভিভূত একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক পরীক্ষার্থী/শিক্ষার্থীর ছবি ক্লিক বেইট বানিয়ে এবং পরীক্ষার হলে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে ভিডিও বা ছবি ধারণ করে ইন্টারনেটে ভাইরাল করা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে আমরা সকলের কাছে অনুরোধ রাখছি।”
এদিকে দৈনিক শিক্ষাডটকম’র অনুসন্ধানে জানা যায়, আরটিভি, জাগোনিউজসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে বগুড়ার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন ছাত্রীর কাঁদো কাঁদো ছবি তুলে তা প্রতিবেদনের সঙ্গে ব্যবহার করেছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।