পরীক্ষার ফলে বিভ্রাট, ফেসবুক লাইভে অভিযোগ ছাত্রীর

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক: |

পরীক্ষার ফলে বিভ্রাট। বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চেয়েও ফল না জানতে পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘লাইভ’ করে নিজের অভিযোগ জানালেন এক ছাত্রী।

বাঘা যতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্সের ছাত্রী সুদেষ্ণা দত্তগুপ্ত পার্ট ওয়ান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে দেখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাঁর ফলের জায়গায় শুধু ‘সমাজতত্ত্ব’ লেখা রয়েছে। প্রাপ্ত নম্বরেরও কোনও উল্লেখ নেই সেখানে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সুদেষ্ণা অভিযোগ করেন, ২০১৫-’১৬ শিক্ষাবর্ষে তিনি আশুতোষ কলেজে সমাজতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরের বছর চলে যান বাঘা যতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ে। সেখানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স নিয়ে ভর্তি হন তিনি।

পার্ট ওয়ান পরীক্ষায় বসার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাডমিট কার্ডও পান। কিন্তু গত ২১ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের পরে দেখেন এই কাণ্ড। অভিযোগ, সুদেষ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিয়েছেন, কলেজ এবং বিষয় বদলের অনুমতি না নেওয়ার জন্য ফল নিয়ে এই বিভ্রান্তি হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। সুদেষ্ণা বলেন, ‘‘এর পরে প্রায় রোজ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৌড়তে হয়েছে নানা ধরনের চিঠি নিয়ে।’’ কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তথ্য না থাকলে পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট
কার্ড কী করে দিলেন কর্তৃপক্ষ?’’

এ দিন বাঘা যতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শান্তিরঞ্জন পালচৌধুরী বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী আমাদের কলেজে ভর্তি হওয়ার পরেই তাঁর সম্পর্কে সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফল নিয়ে এই বিভ্রাটের পরে আবার পাঠানো হয়েছে।’’ তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলের সচিব গুরুপদ সোরেন জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক করের অবশ্য কোনও বক্তব্যই পাওয়া যায়নি এ বিষয়ে। ফোন তোলেননি, এসএমএসেরও উত্তর মেলেনি।

সুদেষ্ণা এ দিন জানান, বহু চেষ্টা সত্ত্বেও এখনও নিজের পরীক্ষার ফল জানতে পারেননি তিনি। তাঁর পরিস্থিতি যাতে অন্যরা জানতে পারেন, তাই শেষে ফেসবুক লাইভ-এর শরণাপন্ন হন বলেই বক্তব্য ওই তরুণীর। অনেকেই দেখে তা শেয়ার করায় এই ঘটনা ছড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের জেনারেল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। ওই সময়েও যদি তিনি তাঁর ফল জানতে না পারেন, তা হলে আরও কড়া পদক্ষেপ করবেন।

সূত্র: অানন্দবাজার


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045862197875977