গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরীক্ষার হলে ঢুকে ২০ ছাত্রের চুল ছেঁটে দিলেন মাদরাসা অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় পরীক্ষার হল ত্যাগ করে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকে পরীক্ষা দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার (১৭ অক্টোবর) কোটালীপাড়ার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, ইয়াসিন শেখ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘গত বুধবার তাদের বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল ছেঁটে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বাংলা পরীক্ষার ২ ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল ছেঁটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। পরে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।’
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, `আমি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল ছেঁটে মাদরাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল ছেঁটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দিবো না এ কথা বলিনি। শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্ন থাকা ও নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্যই এ কাজ করেছি। তবে কাউকে ফরম পূরণ করতে দেবো না, এ কথা বলিনি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।