উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ির শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের বিএম শাখার ৪২জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিজের সম্মতিতে ওই কলেজে ভর্তি হলেও তাদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন কলেজে ভর্তি দেখানো হয়েছে।
শিক্ষার্থী ইমরান পারভেজ সাকিব, রেজাউল আলম, সাদিকুল ইসলাম, শাহাজাহান আলী ও লেমন ইসলাম জানান, ভোকেশনাল শাখা থেকে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে এসএসসি পাস করে স্থানীয় শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিএম শাখার কম্পিউটার অপারেশন ট্রেডে ভর্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে তারা ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষার জন্য নিজ কলেজে ফরম পূরণ করতে গিয়ে জানতে পারেন তারা মধ্যপাড়া কলেজের বিজ্ঞান শাখার ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়ে আছেন। অথচ তারা কোনো দিন ওই কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেননি এবং কোনো কাগজপত্র জমা দেননি।
ইমরান পারভেজ সাকিবের বিজ্ঞান শাখার ক্লাস রোল দেখানো হয়েছে ৭৯, একই শাখায় রেজাউল আলমের ৭১, লেমন ইসলামের ৮৩, সাদিকুল ইসলামের ব্যবসায় শাখায় রোল ১১৮ ও শাহাজান আলীর ১১৭ ক্লাস রোল দেখানো হয়েছে।
একই অভিযোগে খাদেমুল ইসলাম, লিংকন হোসেন, বিপ্লব হাসান ও মহিবুল ইসলামের। শিক্ষার্থী অন্তিম চন্দ্র বলেন, স্থানীয় শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিএম শাখার হিসাব রক্ষণ ট্রেডে ভর্তি হয়েছি। ফরম পূরণ করতে এসে জানতে পারি আমি অন্য কলেজে ভর্তি। আমি কোন কলেজের ছাত্র তা এখনো জানিনা।
এ ব্যাপারে জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হক বলেন, কিভাবে তার স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে মধ্যপাড়া কলেজের ছাত্র হিসেবে ভর্তি করা হয়েছে সেটি জানতে ওই কলেজের অধ্যক্ষকে রোববার (২০জানুয়ারি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এই ঘটনার সাথে স্কুলের কেউ জড়িত আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মধ্যপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. অবায়দুর রহমান জানান, ওই সব শিক্ষার্থীর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা হয়েছে। ছাত্রদেরকে কলেজে আসতে বলা হয়েছে, তারা এলে বিষয়টি সুরাহার ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভর্তি হওয়া ছাত্রদের না জানিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি দেখানোর কারণে ৪২ জন ছাত্র ফরম পূরণ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনকে মধ্যপাড়া কলেজে এবং চারজনকে বর্ণমালা নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি দেখানে হলেও ২৬ জন ছাত্র জানেনা তারা কোন কলেজের ছাত্র। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার ব্যবস্থা করা না হলে ছাত্ররা এক বছর পিছিয়ে যাবে।