গেলো দু’বছর করোনার ধকল সামলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরোনো আমেজে শুরু হয়েছিলো অমর একুশে বইমেলা। দীর্ঘ ২৮ দিন পর সেই পুরোনো আমেজ নিয়েই পর্দা নামলো বইমেলার ঊনচল্লিশতম আসরের। মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলায় ২৭ দিনে এবার ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির বই বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার।
মঙ্গলবার বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান প্রতিবেদন উপস্থাপনে এ তথ্য জানান মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, এবারের পুরো বইমেলার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। তবে, এটা প্রকৃত চিত্র বলা যাবে না। কারণ অনেক প্যাভিলিয়ন তাদের বিক্রির তথ্য দেয়নি। আবার অনেক প্যাভিলিয়নের বই বিক্রির তথ্য গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। বইমেলায় বাংলা একাডেমি ২৭ দিনে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, আর্চওয়ে হিসেব অনুযায়ী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৬ জন দর্শনার্থী এবারের বইমেলায় এসেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত এবারের বইমেলা সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে। বইমেলা কেবল বই বিক্রির জায়গা নয়। দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রাণের মেলা। বইমেলা সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনে বড় একটি দিগন্ত। বই পড়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে মানবিক দর্শন জাগ্রত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোভিড মহামারি পর মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা আয়োজন আমাদের জন্য বড়ো একটি সাফল্য। বিন্যাস ও আঙ্গিকগত দিক দিয়ে এবারের বইমেলা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে।