পলাশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সকল প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। এসব কর্নারে স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই, আলোকচিত্র ও তথ্য। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পলাশ উপজেলা প্রশাসন।
পলাশ আদর্শ বিদ্যানিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার জানায়, পাঠ্যবইপড়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে খুব একটা জানা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে সংগ্রহে রাখা বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারছি। পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বন্যা দাস জানায়, কর্নারে স্থান পাওয়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক স্থিরচিত্রগুলো আমাদের মনকে নাড়া দেয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে আমাদেরকে উত্সাহিত করছে এই কর্নার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা মুক্তিযুদ্ধ কর্নার আমাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।
সানেরবাড়ী প্রাইমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করতে ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে আগ্রহ নিয়েই কর্নার গিয়ে তথ্য জানছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি বলেন, একটি জাতিকে এগিয়ে যেতে হলে তার শেকড়কে জানা উচিত। আর আমাদের শেকড় হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। এজন্যই শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত করে তোলা, চিন্তা চেতনায় দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবোধ তথা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার গড়ে তোলা হয়েছে।