যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এখন ঢাকায়। দু’দিনের সফরে গতরাতেই তার আসার কথা। এই মার্কিন দূত তার সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। তিনি দিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ফোরামে অংশ নেন। ভারত থেকেই তিনি ঢাকায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সফরকালে র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জোর অনুরোধ জানানো হবে লু-কে। এছাড়া ঢাকা সফরে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের একাংশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কী বার্তা দেবেন তা জানতে আগ্রহী অনেকেই। তবে ক্ষমতাসীনরা এ বৈঠককে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না।
ডোনান্ড লু’র সফর আলোচনায় আসার প্রধান কারণ, পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারের পতন। লু’র কলকাঠি নাড়ার কারণে ইমরান খান পদত্যাগে বাধ্য হন বলে শোনা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের ইমরান খানের সরকার আর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এক নয়। ইমরান খানের সরকার ছিল কোয়ালিশন সরকার। শরিকরা ইমরান খানের সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করলে সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার হচ্ছে একক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার। সরকারে থাকতে তাদের কোনো শরিকের সমর্থনের প্রয়োজন নেই। ফলে ডোনান্ড লু ইচ্ছা করলেও এখানে তার কিছু করার নেই।