পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অতি গুরুত্বপূর্ণ সচিব পদ থেকে নাজমা ভাবীর বিদায় হতে না হতেই আরেক ভাবীকে পদায়ন করার সব আয়োজন চূড়ান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এবারের ভাবীটা তস্য জুনিয়র। মাত্র ২২ ব্যাচের কর্মকর্তা। ইংরেজি লিখতে, বলতে ও পড়তে পারে না। হিসাব-নিকেষ বোঝেন না। প্রকাশক ও মুদ্রাকররা কি চিজ তা-ও জানেন না। কিন্তু তার স্বামী সর্ব ক্যাডারের স্বামী ক্যাডারের অতিরিক্ত সচিব। আর এটা তার দুইমাত্র ‘যোগ্যতার’ অন্যতম!
শিক্ষাখাতের নানা চেম্বারে তক্কে তক্কে থাকা শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা গেছে সচিব পদে বসতে উদগ্রীব ভাবী পাঠ্যপুস্তক বোর্ডেই আছেন গত পাঁচ বছর ধরে। এতদিন তিনি ছিলেন শিক্ষা ধবংসের কারিগর ও লুটেরা দীপু মনি, নাজমা আখতার ও অধ্যাপক মশিউজ্জামানের লোক হিসেবে। আর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি বনে গেছেন বঞ্চিত! তার দ্বিতীয় যোগ্যতা হলো--- কিছুই না বোঝা! এতে সুবিধা হলো আগের নাজমার মতোই শুধু টাকা গুণতে ও পার্সেন্টেজটা হিসেব করতে পারা!
ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা, টুকটাক ব্যবসা বাণিজ্যের মারপ্যাঁচে বোঝা ও শতকোটিপতি প্রকাশক ও মুদ্রাকরদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ফাইল অনুমোদন করার যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব পদে পদায়ন করার দাবি এনটিবিতে কাজ করা তিক্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচছুক একজন অধ্যাপক বলেন, শিক্ষা প্রশাসনে প্রায় তিন দশক ধরে একটা কথা চালু, সেটা হলো ক্ষমতাবান কারো শিক্ষা ক্যাডার শ্যালিকা, ভাই, স্ত্রী, বোন বা নিকটাআত্মীয়কে যেকোনো মূল্যে ঢাকায় রাখতে হলে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞ অথবা ঊধর্বতন বিশেষজ্ঞ পদে বদলিভিত্তিক পদায়ন দেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ। আর তাই যুগ যুগ ধরে পাঠ্যবইতে ভুল থাকছেই । সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকছেই। শুধু দলের নাম বদল আরকি!
এছাড়াও উর্মিলা খালেদ নামে খুন মামলায় গ্রেফতার সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নিকটজন আছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে। তিনিও নাকি এনসিটিবির সচিব হতে চান। গত সাত-আট বছর ধরে এক পদে আছেন তিনি। ৫ আগস্টের পর তিনিও দাবি করেন বঞ্চিত!
তিন সপ্তাহ আগে প্রশাসন ক্যাডারের একজন উপসচিবকে এনসিটিবির সচিব পদে পদায়ন করা হলেও শিক্ষা ক্যাডারের বিরোধীতার কারনে তিনি যোগদান করতে পারেননি বলে চাউর রয়েছে।