ঈদুল ফিতরের ছুটির পরই নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব কটি বইয়েরই ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী পাবে শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পরিমার্জন করে বইগুলো সংশোধনের কাজটি শেষ পর্যায়ে। এখন সাজানো-গোছানোর কাজ চলছে।
তারা ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩টি এবং সপ্তম শ্রেণির ১৩টিসহ মোট ২৬টি বই সংশোধন করেছেন। মাউশির মাধ্যমে সংশোধনীগুলো পাঠানো হবে। তবে আগামী বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি বই আরও পরিমার্জন (সংযোজন-বিয়োজন) করে দেওয়া হবে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এই সংশোধনীর জন্য এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের (ট্রাই আউট) জন্য সারাদেশের প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনসিটিবির কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর গত ২০, ২১ ও ২২ মার্চ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ নিয়ে কর্মশালা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে ২৭ থেকে ৩১ মার্চ পরিমার্জনের কাজটি করা হয়।
কথা ছিল এ বছর তিনটি বইয়ের সংশোধনী দেওয়া হবে। তবে এখন এনসিটিবি জানিয়েছে, তিনটি নয়, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব কটি বইয়েরই ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দিচ্ছে তারা।
রমজান মাসেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংশোধনীগুলোর সফট কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা তা হাতে পাবে ছুটি শেষে ঈদের পর। উল্লেখ্য, বিতর্কের সৃষ্টির পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।