প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবিষয়ে যে পরিবর্তন হয়েছে, তার স্বরূপ উন্মোচনে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠনসহ কয়েক দফা দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় জোটের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
জোট বলছে, এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে জবাব দিতে হবে।
আলোচনা সভার ধারণাপত্র ও দাবি উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
জোটের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে পরিবর্তিত পাঠ বাদ দিয়ে অবিলম্বে আগের পাঠ প্রতিস্থাপন করা। সংশোধিত পাঠ ডিজিটাল কনটেন্ট হিসেবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো। অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহ পালন বাধ্যতামূলক করা। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক চেতনায় শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক আরও উন্নত করতে আলোচনা শুরু করা।
মফিদুল হক বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবিষয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সম্প্রীতির চেতনা আরও বিকশিত হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার বিপরীত।
আলোচনা সভায় গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সরকার শিক্ষার মান সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে এনেছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতা। এ বিষয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের বক্তব্য থাকা উচিত।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রমুখ।