পাঠ্য তালিকায় অনুমোদনবিহীন বই, শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি |

জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি লিখিত আবেদনটি করেছেন আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের আব্দুর রহিম নামের একজন অভিভাবক। তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ আবেদন করেন।

লিখিত আবেদনে আব্দুর রহিম জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর এনসিটিবির অনুমোদনহীন নোট বা গাইড বই মজুদ, বিক্রি বা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে এসংক্রান্ত বই যাতে শিক্ষকরা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত না করতে পারেন সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাঞ্জেরিসহ কিছু প্রকাশনীর গাইড বই বাজারজাত করছে বলে এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একই অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধেও।

এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পৃথকভাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান চঞ্চল একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিলারা বেগম বলেন, ‘প্রশাসনিকভাবে নোট ও গাইড বই বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে এর থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখা সম্ভব।’ জেলা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির কিছু নেতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন গাইড বই প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছেন।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সাতক্ষীরায় এসব অনুমোদনবিহীন গাইড বই বন্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024509429931641