পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করে প্রতি বছরই  ভর্তির সময় আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চ শিক্ষার মান ধরে রাখতে পারছেনা। তবে এখন থেকে অপরিকল্পিতভাবে আসন বৃদ্ধির সে সুযোগ আর থাকছে না। নতুন করে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ানো যাবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনাও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইউজিসিতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা আর বাড়ানো যাবে না’ মর্মে নির্দেশনা দিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে প্রয়োজনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউজিসিকে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অনার্সে  আসন ছিল ৭ হাজার ১০৮টি। তবে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ২০টি আসন বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আসন সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬৩৬টি। এ বছর আসন সংখ্যা বাড়বে ৭০টি। গত বছর খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তিনটি অনুষদভুক্ত ১৮টি বিভাগ ও তিনটি ইনস্টিটিউটে স্নাতক পর্যায়ে আসন ছিল ১ হাজার ৫টি। চলতি বছর আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৫টি করা হয়েছে। একইভাবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নতুন বিভাগ খোলা ও পুরনো বিভাগে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রতি বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট ১১ লাখ ৬৩ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে ৮ লাখ ১ হাজার ৭১১ জন। আর চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৭ হাজার ৯০ জন।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028839111328125