চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিনিধির মাধ্যমে সেখানকার অমানিশাগুলো কেটে যাবে। কারণ তাদের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সংসদে কথা বলবেন এবং সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী ও আদিবাসী ভাই-বোনদের নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাব।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি) কর্তৃক আয়োজিত “পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পূর্তি: শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নিরিখে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন।
চবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের দেশে পার্বত্য অঞ্চলে বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কঠোর পরিশ্রম ও বিচক্ষণতা দিয়ে এখানে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। এমন একটি সময় ছিল যখন নির্বিঘ্নে পার্বত্য অঞ্চলে চলাচল করতে পারতাম না। খুব খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমরা সে সময় গুলো অতিবাহিত করেছি। সে সময় বিকেল চারটার পর বের হতে পারতাম না, সেনাবাহিনীরা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হত। আজ আমরা সাজেক, বান্দরবন ও খাগড়াছড়িতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারি। এই সুন্দর পরিবেশটা তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমান সরকারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদের জন্য কোটা চালু করেছি। এখানে উপজাতি অ-উপজাতি কোটাও রয়েছে। এছাড়াও তাদের জন্য দুটি হল নির্মাণ করা হয়েছ। এখন আমাদের কর্তব্য হবে যেখানে যারা পিছিয়ে আছে তাদের নিয়ে কাজ করা হোক সে পাহাড়ি বা সমতলের বাসিন্দা এর মধ্যে বৈষম্য রাখা যাবে না। সকলে যাতে এগিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন আমাদেরও করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ যখন বিধ্বস্ত তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর যে কাজটি করেছিলেন সেটি হলো 'পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড' গঠন। এটি ছিল তার একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এরপরে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এ চুক্তিটি সম্পাদনা করেছিলেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাহাড়িরা স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের যোগ্য প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠাবে এবং তাদের দুঃখ দুর্দশা ও সমস্যা লাঘবের ব্যাপারে আলোচনা করবে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসবে।
এতে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ।