পায়রার ভাঙনে সরছে বিদ্যালয়

আমাদের বার্তা, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) |

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পিপঁড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পায়রার ভাঙনের কবলে পড়ায় অন্যত্র সরিয়ে নেয়ায় ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গত ২৪ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরের প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার রক্ষা ও পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়ের ভবন পায়রা নদীগর্ভে চলে গেলে স্থানীয় দ্বন্দ্ব ও জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে গত ৪ বছর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নির্মিত ব্যহত হওয়ার জটিলতা দেখা দেয়। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।

এ ছাড়া পায়রা নদী তীরবর্তী একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে টিনশেড ঘরটিও যেকোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টালগ্নের সময়ে পূর্বদিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার জমি এবং মানুষের বসত ঘড় ছিলো। পায়রা নদীর তীরবর্তী এবং দুর্গম এলাকা বিধায় কোনো শিক্ষক এখানে আসতে চান না। শিক্ষার্থীরা বলেন, সব সময়ে ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হয়, কখন যেনো নদীতে বিলীন হয়ে যায় বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুজিৎ মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়টি পায়রার ভাঙনে গত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ভেঙে যায়। এরপর ছোট্ট একটি টিনশেড ঘরে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। স্থানীয় কিছু জটিলতা ও বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। ঘূর্নিঝড় রেমালে পর পায়রা নদীর ভাঙন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল হক বলেন, বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পরে নতুন ভবন বরাদ্ধ হয়েছিলো। স্থানীয় জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণ হয়নি। বরাদ্দ এলেই বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে পড়ায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর ও দ্রুত মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে এবং পাশের একটি মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - dainik shiksha আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবার ভর্তির লটারিও স্থগিত করলো সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল - dainik shiksha এবার ভর্তির লটারিও স্থগিত করলো সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে জয়পুরহাটের আইএইচটি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে জয়পুরহাটের আইএইচটি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ৮ ডিসেম্বর - dainik shiksha এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ৮ ডিসেম্বর মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! হা*মলা-ভা*ঙচুরের ঘটনায় মা*মলা করবে মোল্লা কলেজ কর্তৃপক্ষ - dainik shiksha হা*মলা-ভা*ঙচুরের ঘটনায় মা*মলা করবে মোল্লা কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগকে গণ*ধোলাই দিয়ে থানায় দিতে বললেন ওসি - dainik shiksha ছাত্রলীগকে গণ*ধোলাই দিয়ে থানায় দিতে বললেন ওসি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034170150756836