ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ ক্রমেই উপকূলে এগোচ্ছে। এটি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ‘দানা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর উপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালী অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং উপকূলের আকাশ মেঘলা রয়েছে। স্থানীয়রা, বিশেষ করে কলাপাড়া ও কুয়াকাটা এলাকার বাসিন্দারা অতীতে হওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর স্মৃতি মনে করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরের ঘূর্ণিঝড়গুলো আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। আবারও এমন ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি, কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’ তিনি স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজন হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। তারা আশাবাদী যে, সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।
সকলকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, কারণ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।