গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিক্ষার্থী জিহাদ (৮) ও মীমের (৬) মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য দাফনের ৬ দিন পর তাদের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ, সাদুল্লাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তোলনকৃত জিহাদ ও মীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয় লাশ দুটো।
সাদুল্লাপুর থানার (ওসি তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে দুই শিশুর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামের শিপনের ছেলে জিহাদ (৮) ও একই গ্রামের নুরনবীর মেয়ে মীম (৬)। তারা উভয়েই চকগোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি ও শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, এ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাছাড়া এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা সমালোচনা। মৃত্যুর দিন জিহাদের মা-বাবা কোনো অভিযোগ না করলেও মীমের মা-বাবা এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ তোলেন। স্থানীয় মেম্বার ও প্রভাবশালীদের চাপে থানায় না জানিয়ে শিক্ষার্থীদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরে গত ২১ জানুয়ারি ঘটনার ৩ দিন পর জিহাদ ও মিমের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।