ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুর থেকে রনি মিয়া (৬) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রনিতে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে স্মার্ট ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রনি। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন মাহফিলে মাইকিং করে এবং বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে। কিন্তু রনির সন্ধান মেলেনি। পরে, নাসিরনগর থানায় ডায়েরি করে তার পরিবার। নিখোঁজের তিন দিন পর কুলিকুন্ডা-নুরপুর মধ্যবর্তী পশ্চিম পাশের পুকুরে রনির লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
এদিকে নিহত রনির পরিবারের সদস্যরা রনির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ তুলেছেন। তারা এর ঘটনার সঙ্গে কুলিকুন্ডা গ্রামের দুই কিশোরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরকে আটক করেছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রনি মিয়া একটি স্মার্টফোন নিয়ে স্থানীয় একটি ওরসে মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। আর স্মার্ট ফোনের কারণেই রনিকে তার সহযোগিরা হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ কুলিকুন্ডা-নুরপুর মধ্যবর্তী একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।