পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা একত্রিত হয়ে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করে। এই আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় উভয়পক্ষের ইট–পাটেল নিক্ষেপ, পুলিশের ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশাল নিক্ষেপে শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই মহাসড়কের দিকে রওনা হয়। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে মহাসড়কের দিকে রওনা দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানের কাছে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তারা। এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা তারা রাস্তার ওপর অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা মহাসড়কের দিকে যেতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা কারও প্রতিপক্ষ নই। দেশের ব্যস্ততম কোনো রাস্তা যদি শিক্ষার্থীরা আটকে রাখে সেটি পরিষ্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব। আমরা শুধুই আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।’