বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ না করায় এবং সভায় বিএনপি নেতারা উপস্থিত থাকায় কেএমপি কমিশনারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা। একই সঙ্গে তারা কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকের অপসারণ দাবি করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদরদপ্তরে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সভা হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ কেএমপি কমিশনারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া রংপুরের আবু সাঈদ ভাই, খুলনার মুগ্ধ ভাইসহ অন্যান্য শহীদদের নাম না নিয়ে কীভাবে মিটিং শুরু করতে পারলেন।
এসময় তিনি বলেন, প্রয়োজনে এই সরকার ২০ বছর থাকবে। তবে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মতো দলকে আমরা ক্ষমতায় চাই না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। আমরা এই দেশটা সাজাতে চাই, নষ্ট করতে চাই না।
খুলনা শহরে নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের নাম আসছে, এটা ছাত্র সমাজ কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে জানান সমন্বয়ক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ।
তিনি বলেন, আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন, সতর্ক হয়ে যান। না হলে আপনাদের অবস্থাও আওয়ামী লীগের মতো হবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবি করেন।
ছাত্রদের জবাবে কেএমপি কমিশনার বলেন, আমরা আইনের মধ্য থেকে অনেক কিছু করতে পারি না। আবার অনেক কিছু আমাদের করতে হয়। এই আইনের অধীনে থাকলে তোমরাও বিষয়টা বুঝতে পারতে। এ নিয়ে আমি তোমাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তুহিন। পুলিশের সঙ্গে সভায় তারা উপস্থিত থাকায় ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, আগামীর দিনগুলো আমাদের সঠিকভাবে সাজিয়ে নিতে হবে।